News
Local

জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থা, আইওএম এর নয়া মিশন প্রধান পররাষ্ট্র মন্ত্রীর কাছে আস্থাপত্র প্রদান করলেন

জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থা, আইওএম এর নয়া মিশন প্রধান পররাষ্ট্র মন্ত্রীর কাছে আস্থাপত্র প্রদান করলেন

ঢাকা- জাতিসঙ্ঘের অভিবাসন সংস্থা আইওএম-এর নয়া মিশন প্রধান, গিওরগি গিগৌরি মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, এমপি এর কাছে তার আস্থাপত্র উপস্থাপন করেছেন।

"আমি আন্তরিকভাবে জনাব গিগৌরীকে মিশন প্রধান হিসেবে স্বাগত জানাই এবং প্রত্যাশা করছি সরকার ও আইওএমের মধ্যে সুসম্পর্ক অব্যাহত থাকবে," বলেন মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, এমপি।

জনাব গিগৌরি এমন এক সময় দায়িত্ব গ্রহণ করলেন, যখন বাংলাদেশ অভিবাসন প্রক্রিয়ার বহুমাত্রিক প্রভাব অনুধাবন করছে। যেমন একদিকে তৈরি হচ্ছে আরও দক্ষ অভিবাসনের সু্যোগ তেমনি অন্য দিকে বাংলাদেশে বসবাস করছে মায়ানমার থেকে পালিয়ে আসা প্রায় ১০ লক্ষ্য রোহিঙ্গা। 

"বাংলাদেশে সার্বিক অভিবাসন পরিস্থিতি খুবই গতিশীল এবং এই ধারা বজায় রাখতে দেশটি অনেক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে", বলেন আইওএম এর নয়া মিশন প্রধান, "আমরা অভিবাসীদের অধিকারকে সুরক্ষিত রাখতে সরকারের সাথে একযোগে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে যাবো এবং চেষ্টা চালিয়ে যাবো যাতে এই দেশের অভিবাসীরা একটি সুশাসিত অভিবাসন ব্যবস্থাপনা সিস্টেমের মাধ্য দিয়ে সর্বদা সবচেয়ে উপকৃত হয়।"

আইওএম এর নয়া মিশন প্রধান উল্লেখ করেন, সংস্থাটি রোহিঙ্গা সংকটকে সর্বাধিক গুরুত্ব সহকারে মোকাবেলা করবে এবং কক্সবাজারবাসীদের সহায়তা প্রদান করা তাদের মুখ্য প্রাধান্য হিসেবে অব্যহত থাকবে। তিনি বলেন, "এই সঙ্কটের সবচেয়ে খারাপ পরিণতি হবে যদি লোকাল কমিউনিটি অস্থিতিশীল হয়ে পরে। এই ক্ষেত্রে সমন্বয়প্রবণ পদ্ধতি অবলম্বন করা এবং সম্পৃক্ত সকল মানবিক সহায়তা প্রদানকারী সংস্থাগুলোর একযোগে কাজ করা অত্যন্ত জরুরী।"

আইওএম, ইন্টার সেক্টর কোর্ডিনেশন গ্রুপ (আইএসসিজি) গঠন করেছে যেখানে সংস্থাটি ইউএনএইচসিআর এবং অন্যান্য মানবিক সাহায্য প্রদানকারী সংস্থার সাথে যৌথভাবে রোহিঙ্গা সঙ্কট মোকাবেলা করার জন্য সঠিক সেবা প্রদান এবং সমন্বিতভাবে কার্যক্রম পরিচালনা নিশ্চিত করে আসছে।

একজন জর্জিয়ান নাগরিক, জনাব গিগৌরি পূর্বে আইওএম পাপুয়া নিউ গিনির মিশন প্রধান এবং ইন্দোনেশিয়ার সহকারী মিশন প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

আরও জানতে যোগাযোগ করুন- চৌধুরী আসিফ মাহমুদ বিন হারুন, আইওএম বাংলাদেশ, ই-মেইলঃ mbinharun@iom.int