-
Who We Are
WHO WE AREIOM is the leading inter-governmental organization promoting humane and orderly migration for the benefit of all, with presence in over 100 countries. IOM has had a presence in Bangladesh since 1998.
About
About
IOM Global
IOM Global
-
Our Work
Our WorkAs the leading inter-governmental organization promoting humane and orderly migration, IOM plays a key role to support the achievement of the 2030 Agenda through different areas of intervention that connect both humanitarian assistance and sustainable development. IOM's objective in Bangladesh is to promote migration that protects and benefits migrants and their societies.
Cross-cutting (Global)
Cross-cutting (Global)
- Data and Resources
- Take Action
- 2030 Agenda
পাবলিক ও প্রাইভেট সেক্টর এর মতভেদে কেবল মানব পাচারকারীরাই জিতছে। চলুন, অভিবাসীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে একযোগে কাজ করি। -এম্বাসেডর উইলিয়াম লেসি সুইং, ডিরেক্টর জেনারেল, আইওএম
বর্তমানে, ক্যালিফর্নিয়ার একজন মালি থেকে শুরু করে সিঙ্গাপুরের একজন ব্যাঙ্কার সারা বিশ্বের সর্বস্তরের কর্মীরা পূর্বের তুলনায় অনেক বেশী অভিবাসনে আগ্রহী। রোম এর হোটেল কর্মচারী হোক, কিংবা লন্ডনে থাকা ডিজাইনার হোক, হোক সে দক্ষ বা অদক্ষ, তার কাজের অনুমতি থাকুক, বা না থাকুক, প্রত্যেকের লক্ষ্য একটাই- তাদের প্রতিভা বিশ্ববাজারের এমন স্থানে উত্থাপন করা, যেখানে তার পর্যাপ্ত মূল্যায়ন হবে।
উন্নত জীবনের স্বপ্ন দেখে যারা নিরাপদ এবং সুশৃঙ্খল ভাবে অভিবাসন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন, তাদের কারনে নিজ ও গন্তব্য, উভয় দেশেরই অর্থনীতি লাভজনক হয়।
কিন্তু আমরা যখন মানব পাচার এর বিরুদ্ধে বিশ্ব দিবস উদযাপন করি তখন আমাদের এও ভাবতে হয়, নিজ দেশ থেকে অনেক দূরে থাকা অভিবাসীরা ভাল কর্মসংস্থানের সুযোগ খুঁজতে গিয়ে কি পরিমাণ শোষণ এবং অপব্যবহারের নানা ধরনের ঝুঁকি নেন, যা নিতান্তই দুঃখজনক।
প্রতি বছর, লক্ষ লক্ষ মানুষ দেশের অভ্যন্তরে এবং আন্তর্জাতিক ভাবে মানবপাচারের শিকার হচ্ছে এবং জোরপূর্বক শ্রম দিতে বাধ্য হচ্ছে। কখনো কখনো, নারী- পুরুষ উভয়ই সহিংসতা, হুমকি ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হন। কাজের খোঁজে প্রায়ই তারা অবৈধ নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কর্মসংস্থানের জন্য ঋণগ্রস্থ হন। এবং তাদেরকে এর জন্য ভীষণ ভাবে বাধ্য করে তাদের পরিবার ও সমাজের লোকজন, যারা নিজেরাও হয়ত একই ভাবে ঋণগ্রস্থ ।
শোষনের অন্যান্য ধরনের মধ্যে আছে- ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে কাজ, নূন্যতম মজুরীতে কাজ, গোপনে মজুরী কর্তণ, কাজের সময় এবং কাজের বাইরে অযৌক্তিক বিধি-নিষেধ আরোপ। এ সকল অপব্যবহার অভিবাসীদের জন্য ক্ষতিকর এবং তাদের অধিকার ক্ষুন্ন করে।
শিল্প-কারখানার প্রতিটি স্তরে শ্রমিকেরা এ ধরনের অপব্যবহারের শিকার হচ্ছে। একজন ক্রেতা হিসেবে সস্তায় পণ্য ও সেবা খোঁজার সময় আমাদের সেই শ্রমিকের কথা মনে রাখতে হবে যারা আমাদের পছন্দের পণ্য তৈরী বা সেবা প্রদান করে থাকে।
মানব পাচার প্রতিটি দেশে এবং প্রতিটি অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সংগঠিত হচ্ছে। ব্যবসা কফি, বস্ত্র বা নির্মান- যাই হোক না কেন, কর্মস্থল বা কমিউনিটিতে সর্বত্রই মানব পাচার ঘটছে। কিন্তু, বর্তমানে এক্ষেত্রে পরিবর্তণ লক্ষনীয়।
যদিও এসকল ইতিবাচক ধারা আমাদের জন্য উৎসাহব্যঞ্জক, তথাপি, আমাদের আরও অনেক কিছু করনীয় রয়েছে। আজ আমি একটা মূল চ্যালেঞ্জ-এ আলোকপাত করতে চাই যা আগামীতে শিল্প ক্ষেত্রে অংশগ্রহণে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেঃ ব্যবসায়ী মহলকে সংগবদ্ধ করা যেন অভিবাসী কর্মীরা তাদের সাথে ঘটে যাওয়া অন্যায় এর প্রতিকার ও সুবিচার পায়।
এ বছরের শুরুতে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম), এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার জন্য কতগুলি ব্যবহারিক দিকনির্দেশনা প্রনয়ন করেছে। জাতিসংঘের সুরক্ষা, সম্মান এবং প্রতিকার বিষয়ক অবকাঠামোর আলোকে আইওএম এর দিকনির্দেশনায় বেশ কিছু উপায়ের কথা বলা হয়েছে যা দ্বারা ব্যবসাসমুহ সরকারী বা বেসরকারী সংগঠনের সাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে শোষনের শিকার হওয়া ব্যক্তিদের প্রতিকারর ব্যবস্থা করতে পারে।
আমাদের কাজের মূল স্তম্ভ হিসেবে মানব পাচারে ক্ষতিগ্রস্থদের সহায়তা নিশ্চিত করতে আমাদের প্রচেষ্টা দ্বিগুণ করতে হবে।